বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ভবন/ ফাইল ছবি

স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এছাড়া স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন মাস এবং ছয়টিকে নতুন করে ছয় মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে ইউজিসি।

ইউজিসি’র পাঠানো চিঠি সূত্রে জানা গেছে, স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনে অগ্রগতি হয়নি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর মধ্যে আছে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান ও পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম চলবে। নতুন করে তারা শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। 

তিন মাসের সময় পেয়েছে ছয় বিশ্ববিদ্যালয় 

স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরে নতুন করে ৩ মাসের সময় দেওয়া হয়েছে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়কে। এগুলো হলো- ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের এ সময়ের মধ্যে অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক সব কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ছয় মাসের মধ্যে স্থানান্তর হবে ছয় বিশ্ববিদ্যালয়

ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে নতুন করে সময় দেওয়া হয়েছে। এ তালিকায় আছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা), উত্তরা ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, গ্রিন ইউনিভার্সিটি ও পিপলস ইউনিভার্সিটি।

আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ

যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো আউটার ক্যাম্পাস (ঢাকার বাইরে) রয়েছে সেগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে সেখানে সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ তালিকায় ব্র্যাক ও মানারাতসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে। 

কী বলছে ইউজিসি

এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের ১২ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হতে হবে। আইন অমান্য করা এমন ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করে সব কার্যক্রম সেখানে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকেই তা এখনো করেনি। এদের মধ্যে যাদের অগ্রগতি একবারেই নেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে ইউজিসি। আর যাদের অগ্রগতি দৃশ্যমান তাদের নতুন করে সময় দেওয়া হচ্ছে।

এমএম/কেএ/জেএস