চাঁদপুর রেল স্টেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করার অভিযোগে পেয়ে অভিযানে গিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।

অভিযানে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির প্রমাণও পেয়েছে টিম। শুধু তাই নয়, রেলের কাউন্টারে কোনো টিকিট পাওয়া না গেলেও কালোবাজারির কাছে দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে এমনকি স্টেশনের দোকানে দোকানে অধিক মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

অভিযানে টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে কয়েকজন রেল পুলিশের জড়িত থাকার বিষয়টিও দৃষ্টিগোচর হয়েছে এনফোর্সমেন্ট টিমের। সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুদকের চাঁদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় ওই অভিযান চালায়।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চাঁদপুর রেল স্টেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুর থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, অভিযানকালে চাঁদপুর (বড় স্টেশন) থেকে চট্টগ্রামগামী দুপুর আড়াইটার সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট দুপুর ১টার আগেই কাউন্টারে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু একাধিক কালোবাজারির কাছে দুই থেকে তিন গুণ দামে টিকিট পান এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা। ট্রেনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কালোবাজারির সদস্যদের কাছে বেলা ১২টার আগেই চলে যায় বলে স্বীকার করেন ট্রেনের ইঞ্জিনরুমের নিয়ন্ত্রক মো. সোহেল। টিকিট বিক্রয়কেন্দ্রে টিকিট না মিললেও স্টেশনের একাধিক দোকানির কাছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় টিকিট পাওয়ার বিষয়টি দেখতে পায় দুদক টিমের সদস্যরা। এমনকি টিকিটের এই কালোবাজারির সঙ্গে কয়েকজন রেল পুলিশের জড়িত থাকার বিষয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সূত্র আরও জানায়, এনফোর্সমেন্ট টিমের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে স্টেশন মাস্টার সোয়াইবুল সিকদারের সঙ্গে দুদক টিম কথা বলে। তাকে টিকিট কালোবাজারি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়। এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত রিপোর্ট দাখিল করবে বলে জানা গেছে।

আরএম/এসএসএইচ/