ফাইল ছবি

বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচির কারণে রাজধানীর নয়াপল্টন ও নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকায় সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের কর্মসূচির কারণে গুলিস্তান এলাকায়ও যান চলাচল ব্যাহত হয়। যার প্রভাব পড়ে আশপাশের এলাকার অন্যান্য সড়কে।

দুপুরের পর রাজনৈতিক কর্মসূচি শেষ হলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত রাস্তায় যানজট রয়ে গেছে। এতে অফিস ফেরত যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ও সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টন, শান্তিনগর, কাকরাইল, রামপুরা, মতিঝিল ও মৎস্য ভবন এলাকার সব সড়কে যানজটের চিত্র দেখা গেছে।

পল্টনে চলাচল বন্ধ থাকার কারণে সকাল থেকে আশপাশের এলাকাগুলোতে যানজট লেগে ছিল। বিকেল থেকে পল্টন এলাকায় যান চলাচল শুরু হলেও জটের রেশ রয়ে যায়। পল্টন থেকে সৃষ্ট যানজট একদিকে যেমন মতিঝিল পর্যন্ত পৌঁছেছে অন্যদিকে শান্তিনগর হয়ে রামপুরা পর্যন্ত গাড়ি প্রায় থেমে আছে।

এদিকে গুলিস্তানে ক্ষমতাসীন দলের কর্মসূচি থাকায় ওইদিকেও দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। যানজট গুলিস্তান থেকে পুরানা পল্টন হয়ে মৎস্য ভবন পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে।

রাজধানীর কাকরাইল এলাকা হয়ে মতিঝিলগামী মো. আনোয়ার নামে এক বাসযাত্রী বলেন, ব্যক্তিগত কাজে মতিঝিল যাচ্ছি। সকাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থাকায় বিকেলে বের হয়েছি, তারপরও যানজটেই পড়তে হলো। গাড়ির চাকা সামনের দিকে এগোচ্ছেই না।

গাজীপুর থেকে সদরঘাটগামী ভিক্টর ক্লাসিক বাসের চালক মো. সিদ্দিক বলেন, সকালে তো এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায়নি। এখন একটা ট্রিপ নিয়ে সদরঘাট যাচ্ছিলাম। কিন্তু শান্তিনগর থেকে গাড়ি আর সামনে এগোচ্ছে না।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, আজ রাজধানীতে গাড়ির চাপ বেশি। বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় যানজট বেড়েছে। তবে রাস্তার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার বজলুর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুপুর থেকে যানজটের মাত্রা অনেক বেশি ছিল। এখন কিছুটা কমে এসেছে। রাত ৯টা বা ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়কে যানজট থাকতে পারে।

এমএসি/এমজে/জেএস