ভালো পুলি পিঠা তৈরি করতে পারেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। একইসঙ্গে ঢেঁকিও ভানতে পারেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর ওয়াইজঘাট সংলগ্ন বুলবুল ললিতকলা একাডেমি মাঠে আয়োজিত 'পৌষমেলা-১৪২৯' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী নিজেই এসব কথা জানান।

কে এম খালিদ বলেন, আমি ভালো পুলি পিঠা তৈরি করতে পারি। বিশেষ করে বকুনি থেকে বাঁচতে মায়ের পিঠা তৈরিতে বহুবার সাহায্য করেছি। তাছাড়া আমি ঢেঁকি ভানতেও জানি।

তিনি আরও বলেন, এখন আগের সেই ঢেঁকি নাই। মেশিনে ধান মাড়াই, চাল ও চালের গুঁড়া তৈরি হয়। আমাদের নাগরিক যান্ত্রিক জীবনে শীতের রুক্ষ-শুষ্ক-মলিনতার মধ্যে পৌষমেলা যেন এক শুদ্ধ উষ্ণ আবেশ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৌষমেলা ধনী, গরিব, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির একটি অসাম্প্রদায়িক ও সার্বজনীন উৎসব। এর মাধ্যমে সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সেতুবন্ধন রচিত হয়। পৌষমেলার উৎপত্তি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে হলেও শত শত বছর ধরে আমাদের গ্রামবাংলায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

পৌষমেলা উদযাপন পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী ও বুলবুল ললিতকলা একাডেমি (বাফা) এর সভাপতি হাসানুর রহমান বাচ্চু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পৌষমেলা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. বিশ্বজিৎ রায়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সংস্কৃতিজন মানজার চৌধুরী সুইট।

ওএফএ/এমজে