সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, হিমালয়কন্যা নেপালে নানা ধর্ম, বর্ণ ও কৃষ্টির মানুষ বসবাস করে। একইভাবে আমাদের দেশেও নানা ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। বাংলাদেশ ও নেপালের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির মধ্যে বেশ মিল রয়েছে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে যৌথ উদ্যোগে এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস, বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ও বাংলাদেশ বুক ক্লাব।

ভারত, নেপাল ও ভুটান একইসূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিকভাবে এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। ভারত ও ভুটান যেভাবে স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে, একইভাবে নেপালও সপ্তম দেশ হিসেবে ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।

আজকের এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভালোবাসার অনন্য নিদর্শন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এসময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের শুধু চিত্রাঙ্কন নয়, সংস্কৃতির অন্যান্য শাখায়ও অংশগ্রহণ ও চর্চার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, ১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এরপর থেকেই অর্থনীতি, যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রেই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমপ্রসারমান। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে শিল্প, সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভাস ও জীবনধারায় সাদৃশ্য রয়েছে। এ প্রতিযোগিতা আয়োজন বাংলাদেশ ও নেপালের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক বহন করে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বুক ক্লাবের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এবং বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি লায়ন মশিউর আহমেদ।

এমএইচএন/এমজে