শখের মোটরসাইকেল রেখে জরুরি কোনো কাজে গেছেন, এসে দেখলেন মোটরসাইকেলটি নেই। এমন একটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে চোরাই মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি চোরাই মোটরসাইকেল।

রোববার (২২ জানুয়ারি) লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাফর হোসেন তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর আজিমপুর কবরস্থানের সামনে এক ব্যক্তি নীল রঙের একটি মোটরসাইকেল রেখে নিকটাত্মীয়ের দাফন করতে যান। এক ঘণ্টা পর ফিরে এসে মোটরসাইকেলটি আর পাননি তিনি। এ ঘটনায় তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২২ সেপ্টেম্বর একটি মামলা হয়।

ডিসি জাফর বলেন, লালবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ একটি দল ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। পরে তা পর্যালোচনা করে ঘটনার সাথে জড়িত রাজিব হোসেন ওরফে শেখ রাসেল ও রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির ছোট ঘিমকলা এলাকা থেকে সে চোরাই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, চক্রের মূল হোতা রাজিবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেনা-বেচা চক্রের সাথে জড়িত দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলু ওরফে নয়ন, বিপুল শেখ, জাহিদুল ইসলাম ও আরিফ খান নামে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় আরও ৯টি মোটরসাইকেল।

চুরির কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, এরা ঢাকা শহরের জনবহুল এলাকায় ঘুরে ঘুরে অতিরিক্ত লক না থাকা বা দুর্বল লক থাকা মোটরসাইকেল ‘মাস্টার কি’ দিয়ে খুলে মুহূর্তেই মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ৩০-৫০ হাজার টাকায় সেগুলো চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়কারীদের নিকট বিক্রি করা হয়। তারা এসব মোটরসাইকেল ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০-৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপিসহ দেশের একাধিক থানায় মোট ১১টি মামলা রয়েছে।

জেইউ/এফকে