বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জাতি হতে চাইলে বিজ্ঞানচর্চা করতে হবে। ইতোমধ্যে আমাদের ছেলেরা সফটওয়্যার ডেভেলপ করছে। আমাদের এখন কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য গ্রহণ করতে হবে। এনার্জিকে কাজে লাগিয়ে যাতে আমরা সেটাকে সাস্টেইনেবল করতে পারি।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে আয়োজিত ১৪তম ন্যাশনাল সাইন্স কার্নিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন>> জ্বালানি সংকট নিরসনে আশা দেখাচ্ছে ভোলার গ্যাসকূপ

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাড়ে ৪০০ স্কুল থেকে যারা আজকের এ বিজ্ঞান মেলায় এসেছেন সবাই আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার এখানে বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে। এরাই হবে আগামী দিনের বিশ্ব সেরা বিজ্ঞানী। কিছুদিন আগেই নবায়নযোগ্য জ্বালানির সবচেয়ে বড় সম্মেলন ইরেনায় রেসিডেন্সিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে। যা আমদের জন্য গর্বের বিষয়।

নসরুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে বিজ্ঞানচর্চা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে গেছে। প্রতিটি স্কুলে ডিজিটাল মেলা হচ্ছে, বিজ্ঞান ক্লাব তৈরি হয়েছে। তারই হাত ধরে আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম অপটিক্যাল ফাইবার নিয়ে এসেছে। ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার, দেশ ব্যাপী সেটা ছড়িয়ে দেওয়া, সবকিছুই আওয়ামী লীগের হাত দিয়ে হয়েছে।

আরও পড়ুন>>ভর্তুকি সমন্বয় করতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি : নসরুল হামিদ

বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি যে, প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। পর্যায়ক্রমে অল্প অল্প করে সমন্বয় করা হবে। গ্যাসের মূল্যেরও সমন্বয় করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস চেয়েছিলেন। আমরা এখন এপ্রিল থেকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেওয়ার একটা পরিকল্পনা করছি। ভোলায় যে গ্যাস পাওয়া গেছে, তা আগামী দুইমাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে সংযোগ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে আমরা সেচে বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করব। কিছু জায়গায় দেওয়া শুরুও হয়েছে।সেটাকে অর্গানাইজ করতে হবে। অনেক জায়গায় সারাদিন ধরে সেচ পাম্প চালু রাখা হয়। আমরা একটা সময় নির্ধারণ করে দেবো, ওই সময়ের মধ্যেই সেচ পাম্প চালাতে হবে। কিছু জায়গায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে আশা করছি আগামী মাস থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।

ওএফএ/এমএ