চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে দুটি লজ্জাবতী বানর ও একটি প্যাঁচা উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশনের (ইন্টারপোল) সহায়তায় উপজেলার বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. মোবারক হোসেন (২৭), সাদ্দাম হোসেন (২৭), মো. মহিউদ্দিন (২৪) ও মো. আজাহার সিকদার (৪২)।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশের বনাঞ্চলে ইন্টারপোলের নজরদারি

পুলিশ জানায়, বান্দরবানের আলীকদম থেকে বন্যপ্রাণী পাচার হওয়ার তথ্য পেয়ে বিশেষ অভিযানে নামে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। দুজন পাচারকারী মোটরসাইকেলযোগে বন্যপ্রাণীগুলো নিয়ে আলীকদম থেকে রওনা দেন। কথা ছিল তারা লোহাগাড়া বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে আরেকটি গ্রুপকে উদ্ধার হওয়া বন্যপ্রাণীগুলো হস্তান্তর করবেন। এ উদ্দেশ্যে অপর দুজনও ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করেন। দুই গ্রুপের চারজনকেই আটক করে পুলিশ। একই সঙ্গে দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

পরে ওসি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহাজাহান ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অভিযুক্তদের কারাদণ্ড এবং জরিমানা করেন। 

লোহাগাড়া থানার ওসি আতিকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, উদ্ধার হওয়া বন্যপ্রাণীগুলোকে স্থানীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসাইনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি প্রাণীগুলোকে নিরাপদ আবাসস্থলে অবমুক্ত করবেন। দণ্ডপ্রাপ্ত চারজনকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে। ইন্টারপোলের তথ্যে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আলীকদম থেকে লোহাগাড়ায় একটি চক্র বন্যপ্রাণীগুলোকে পৌঁছে দেবে। এরপর লোহাগাড়া থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছে দেবে আরেকটি চক্র এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে যাবে অন্য চক্র। সবশেষ ঢাকা থেকে পাবনা নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল আরেকটি গ্রুপের।

এমআর/এসকেডি