তিন দফা জানাজা শেষে চট্টগ্রাম নগরের গরীব উল্লাহ শাহ মাজার কবরস্থানে মা এবং ছোট ভাইয়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

মোছলেম উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় প্রথম জানাজা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার মরদেহ হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মরদেহ বাড়িতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বাদ আসর বোয়ালখালীর গোমদন্ডী পাইলট স্কুল মাঠে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 

তিনি আরও বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বোয়ালখালী থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে মোছলেম উদ্দিনের মরদেহ নগরের আন্দরকিল্লা এলাকায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় নিয়ে যাওয়া। সেখান থেকে তার মরদেহ রাতে লালখান বাজার বাসায় রাখা হয়। আজ (মঙ্গলবার) বেলা ১১টার দিকে নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সর্বশেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গরীবুল্লাহ শাহ মাজার কবরস্থানে মা এবং ভাইয়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৪৭ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।

জানা গেছে, মোছলেম উদ্দিন ১৯৬৯ সালে সরকারি কমার্স কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ  মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মোছলেম উদ্দিন ১৯৭০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।  তিনি ২০০৫ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৩ সাল থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। 

মোছলেম উদ্দিন ২০২০ সালে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে হারিয়ে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। চট্টগ্রামের এই প্রবীণ নেতার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এমআর/এসকেডি