ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্কে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে যাচ্ছে মোট ৪৬ সদস্যের উদ্ধারকারী দল। এই উদ্ধারকারী দলটিতে ফায়ার সার্ভিসের ১২ জন, সেনা বাহিনীর ২৪ জন ও ১০ জন চিকিৎসক রয়েছেন।  

উদ্ধারকারী দলটি ভূমিকম্প পরবর্তী জরুরি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা দেবে। বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমানে চড়ে তুরস্কে পৌঁছাবে উদ্ধারকারী দলটি। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুরান ঢাকার ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

তিনি বলেন, বুধবার রাত ১০টায় বাংলাদেশের একটি বিমানে চড়ে তারা তুরস্কে যাবেন। তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে সেখানকার সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্য চেয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে তুরস্কে একটি সম্মিলিত সাহায্যকারী দল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মো. মাইন উদ্দিন বলেন, সম্মিলিত উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে অন্তর্ভুক্ত করায় আমরা সম্মানিত বোধ করছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য এটি ফায়ার সার্ভিসের প্রথম বিদেশ গমন। এর আগের নেপালে পাঁচজন সদস্য গিয়েছিলেন।

বর্তমান সরকারের সময়ে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধির এটি একটি উজ্জ্বল উদাহরণ মন্তব্য করে মহাপরিচালক বলেন, উদ্ধারকারী দল সেখানে সাতদিন থাকবে। তারা হালকা যন্ত্রপাতি নিয়ে তুরস্কে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে উদ্ধারকাজে অংশ নিতে উদ্ধারকারী দল পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে। সেই সঙ্গে জরুরি চিকিৎসাসেবা দল পাঠানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক ও প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সোমবার শোক বার্তায় সহায়তার প্রয়োজন হলে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তুরস্কের মানুষের জন্য শোক ও সমবেদনা জানানোয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান।

জেইউ/কেএ