একটি প্রতিষ্ঠানের জমির নামজারির আবেদনে অনিয়মের জন্য রাজধানীর মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলের সাবেক এসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার-ভূমি) ফয়জুন্নেছা আক্তারের বেতন কমানো হয়েছে। শাস্তি হিসেবে দুই বছরের জন্য তার বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে নামানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ফয়জুন্নেছা আক্তার মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) থাকাকালীন অভিযোগকারী ‘গোল্ডেন সন লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক ফ্ল্যাটের সম্পত্তি তার প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নামজারি আবেদন করলে পরিত্যক্ত সম্পত্তির 'খ' তালিকাভুক্ত হওয়ার অজুহাতে ওই প্রতিষ্ঠানের নামজারির আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। পরে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি ফের নামজারি আবেদন করলেও আগের মতো একই কারণে নামঞ্জুর করা হয়। যদিও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ১৯৯৫ সালের ১৯ নভেম্বর তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি পরিত্যক্ত তালিকা থেকে অবমুক্ত করেছে। 

এছাড়া বর্ণিত হোল্ডিংয়ের অন্য দুটি নামজারি আবেদন ফয়জুন্নেছা আক্তার অনুমোদন দেন, যা অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠানের পর পর দুটি নামজারি আবেদনের মধ্যবর্তী সময়ে দাখিল করা হয়। ফয়জুন্নেছা আক্তার নামজারি আবেদন যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে ত্রুটিপূর্ণভাবে নামঞ্জুর করেছেন এবং আলোচ্য তফসিলের সম্পত্তি পরিত্যক্ত সম্পত্তি তালিকা থেকে অবমুক্ত বলে ২০ তলা বিশিষ্ট পল্টন টাওয়ারের আরও অনেক নামজারি অনুমোদিত হয়েছে। 

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এ বিষয়টি অবহিত হলেও ফয়জুন্নেছা আক্তার মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলে দায়িত্ব পালনকালে জেনেশুনে অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন সন লিমিটেডকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেননি বলে প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী ফয়জুন্নেছা আক্তারকে আগামী ২ বছরের জন্য ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ' অর্থাৎ ষষ্ঠ গ্রেডে ৩৫ হাজার ৫০০ থেকে ৬৭ হাজার ১০ টাকা বেতন স্কেলের নিম্নধাপ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল বেতনে অবনমিতকরণ সূচক ‘লঘুদণ্ড’ দেওয়া হয়েছে। 

তবে দণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বর্তমানে প্রাপ্ত বেতন ধাপে ফিরে যাবেন। কিন্তু তিনি বকেয়া আর্থিক সুবিধাদি পাবেন না।

এসএইচআর/এসকেডি