বিগত ৪০ বছর ধরে বেদখলে থাকা ১৫ একর জমি উদ্ধার করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন ১৪ নম্বর আউটফল ক্লিনার কলোনি এবং সিটি পল্লীর এসব জমি বিগত ৪০ বছর ধরে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ভোগদখল করে আসছিল। 

সেসব জমি উদ্ধারে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ১৪ নম্বর আউটফল ক্লিনার কলোনি ও সিটি পল্লীতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।

এই অভিযান পরিচালনা করেন কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম। কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে সার্বিক তদারকি করেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

অভিযানে সিটি পল্লীর সম্মুখভাগ, তেলেগু কলোনির সম্মুখভাগ, ক্লিনার কলোনির প্রায় ৫০টি বাড়িসহ সবমিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক অবৈধ স্থাপনা ও বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে কলোনিতে বসবাসরত বাসিন্দারাও সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন এবং উচ্ছেদ কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। 

অভিযান প্রসঙ্গে কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মেয়রের নির্দেশনার আলোকে বেদখলে থাকা কর্পোরেশনের মালিকানাধীন ১৫ একর জমি দখলমুক্ত করা হচ্ছে। এই ১৫ একর জমির মধ্যে কিছু অংশে তেলেগু সম্প্রদায়ের যেসব পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। বাকি অংশে কর্পোরেশনের জন্য অত্যাধুনিক মোটর গ্যারেজ নির্মাণ করা হবে।

বর্তমানে উচ্ছেদকৃত অংশের বর্জ্য অপসারণের কাজ চলমান রয়েছে বলেও মো. মনিরুজ্জামান উল্লেখ করেন। 

অভিযানে অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দর আলী, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সরকার, ৪৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু, ৪৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাদল সরদার, কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন।

এএসএস/এফকে