দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে গুলশানের বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন পর্যন্ত একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই ভবনের ৭ম তলা থেকে ১৩ তলা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলছিল।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আরও আগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতাম। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে আমরা আড়াই ঘণ্টা যাবৎ চেষ্টা করছি, আর সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি। বিপদের সময় আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো উদ্ধার কাজে রাস্তাটা ছেড়ে দিতে হবে, আবেগ দিয়ে সবকিছু হয় না। ফায়ার ব্রিগেড তাদের প্রটোকল অনুযায়ী স্টেপ বাই স্টেপ কাজগুলো করছে।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সাত তলা থেকে ১২ তলা পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে সার্চ করে দেখেছে। দ্বিতীয়বার তারা আবারও দেখছে। ১-৪ বছরের শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা। টপ ফ্লোরে ১১ জন আটকে ছিল, তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে, আমরা চেষ্টা করছি।

জনসাধারণকে অনুরোধ করে মেয়র বলেন, আগুনটা আমরা আরও আগে নেভাতে পারতাম। আমাদের আহত আরও কম হতো। ৪০ জন ফায়ার ব্রিগেডের কর্মী ভেতরে উদ্ধার কাজ করছে। আমরা যে ভয় পেয়েছিলাম, সেই ভয়টা এখন আর নেই। এখন পর্যন্ত আমরা কিন্তু ভেতর থেকে কাউকে নামাতে পারিনি। সাত তলা থেকে ১২ তালা ছিল ভেরি ডেঞ্জারাস। যারা পাঁচ থেকে ছয়তলা ছিল তারা অনেকে নেমে গেছে। এরপরও প্রত্যেকটা ফ্লোরে গিয়ে চেক করা হবে। আমি এখানে আছি। 

আতিক বলেন, আমি বারবার বলেছি কেউ বিল্ডিং থেকে লাফ দেবেন না। ১২ তলায় যে ১১ জন ছিল তাদের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। তারা বলেছিল লাফ দেব কি না। আমি তাদের বলেছি লাফ দেবেন না, একটু ধৈর্য ধরেন। যদি কেউ লাফ দেয় তাহলে কিছু করার থাকবে না। যারা লাফ দেয় নাই, আলহামদুলিল্লাহ তারা নিরাপদে বেঁচে আছেন।

এমএইচএন/এসএম