ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আগুন যেকোনো সময়ই লাগতে পারে। এই ভবনটি সব নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। কিন্তু এতো সুন্দর ভবন অথচ আগুন লাগল। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ফায়ার ড্রিল করার মতো গার্ড ও বাসিন্দারা প্রশিক্ষিত ছিল কি না তা জানা নেই। সাধারণত থাকে না।

মেয়র দাবি করেন, আমরা ফ্যাক্টরিতে বা গার্মেন্টসে প্রতিনিয়ত অগ্নিমহড়া ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু বাসা-বাড়িতে সাধারণত সেটা হয় না। সত্যিকার অর্থে ফ্ল্যাট কেনেন কিংবা নিজে বাড়ি করেন, সচেতনতার কোনও বিকল্প নেই। 

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার দিকে গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে অগ্নিকাণ্ড ঘটা বাসা- ২/এ ভবন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

উত্তরের মেয়র আরও বলেন, যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় আগুন লাগতেই পারে; কিন্তু যেটা দরকার সেটা হচ্ছে সেফটিনেস ও সচেতনতা। এই ভবনে যারা ছিলেন তারা যথেষ্ট সম্পদশালী ও শিক্ষিত। কিন্তু একটা আগুনেই তারা ভবনে আটকে গেছেন। আজকে তারা আটকে গেছেন, কালকে আমিও আটকাতে পারি, আপনিও আটকে যেতে পারেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ভবনটি বিল্ডিং কোড মেনেই করা হয়েছে। কিন্তু আর্থিং লাইন ও ইলেক্ট্রনিক লাইন একই পাইপে উঠেছে। দুই লাইনের মাঝে সেপারেশন থাকে। সেটা যদি না থাকে বা মাঝে যদি কোনও দাহ্য পদার্থ থাকে তাহলে কিন্তু সেপারেশন হলো না। সেটা আমি ইঞ্জিনিয়ার ও ফায়ার সার্ভিসকে দেখতে বলেছি। সেন্ট্রাল এসি ছিল। সেটা থেকে কোনও কারণে আগুনের ঘটনা ঘটেছে কি না সেটা তদন্ত হবে। ফায়ার সার্ভিস আগুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি করেছে। 

তিনি আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশনের অগ্নি সচেতনতামূলক কার্যক্রম আছে। আমরা বই দিয়েছি, মহড়া দিচ্ছি। সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বিভিন্ন সোসাইটি রয়েছে যেমন গুলশান সোসাইটি, বারিধারা সোসাইটি তারা যদি এগিয়ে আসে আমাদের বইনে, মহড়ায় অংশ নেয়, কেন অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটে? ভূমিকম্প হলে কী করতে হবে? তা যদি শেখেন তাহলে অনেকটা সহজ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। 

জেইউ/এসএম