দেশের দশটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আলাদা অধিদপ্তর চায় সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের মতামত নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে কমিটি।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে জানা যায়, সারা দেশের মোট দশটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, তাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম দেশে-বিদেশে সুচারুভাবে তুলে ধরা এবং সর্বোপরি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে আরও যুগোপযোগী ও গতিশীল করার উদ্দেশে একটি আলাদা অধিদপ্তর গঠনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের মতামত গ্রহণের জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

এছাড়া বৈঠকে পাহাড়িদের জীবনমান উন্নয়নের উদ্দেশে তাদের তৈরি পণ্য সামগ্রী কীভাবে বাজারজাত করা যায় এবং কীভাবে বিদেশে বিপণন করা যায়, সে সম্পর্কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিতে কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

বৈঠকে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে কমিটিকে অবহিতকরণ- ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘আমি বীরঙ্গনা বলছি’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের আত্মকথা’ গ্রন্থগুলোর যথাযথ ইংরেজি নামকরণে অনুবাদ কমিটিকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য স্থায়ী কমিটি কর্তৃক গঠিত সাব-কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া বিগত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর একুশে পদকে ভূষিত হওয়ায় কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং উক্ত অধিদপ্তরে দক্ষ ও আইটি বিশেষজ্ঞ জনবল নিয়োগের জন্য কমিটি সুপারিশ করে।

এছাড়া গীতিকার ও সুরকার উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণের নিমিত্ত নতুন কপিরাইট আইন প্রণয়ন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসামাজিক, কুরুচিপূর্ণ বা রাষ্ট্রবিরোধী কনটেন্ট প্রচার নিয়ন্ত্রণে তথ্য মন্ত্রণালয়, বিটিআরসির সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, অসীম কুমার উকিল এবং সুবর্ণা মুস্তাফা অংশ নেন।

এসআর/এফকে