নামি ব্র্যান্ডের মোড়কে নকল পণ্য বাজারজাত করতো চক্রটি
গ্রেফতার হওয়া চক্রের তিন সদস্য
নামি ব্র্যান্ডের মোড়কে নকল পণ্য বাজারজাত করার দায়ে একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন জাহিদুল ইসলাম (৩৫), আব্দুর কাদের (২৫) ও ইউনুছ আলী (১৯)। এসময় তাদের কাছ থেকে নকল পণ্য তৈরির মেশিন এবং প্রায় ১৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের সরঞ্জাম ও পণ্য জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকেলে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভেজাল পণ্য বাজারজাত করা চক্রটির কার্যক্রম এবং তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি তুলে ধরেন অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, চক্রটির সদস্যরা বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন কোম্পানির মোড়ক নকল করে ভেজাল পণ্য বাজারে ছাড়ত। যেমন সার্ফ এক্সেল ডিটারজেন্টের নামের সঙ্গে মিল রেখে তারা তৈরি করেছে সুপার এক্সেল। প্যাকেটের রং ও অন্যান্য তথ্য একই। গভীরভাবে যাচাই না করলে ভোক্তারা এটি ধরতে পারবেন না। তাদের পণ্য যে নকল তা বুঝার সুযোগ ছিল না ভোক্তাদের। এমনকি দোকানিরাও তা বুঝতে পারতেন না।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, তাদের কাছ থেকে নকল মোড়কের ভেজাল কয়েকটি পণ্য জব্দ করেছে সিআইডি। ৪ হাজার ৮৬৪ প্যাকেট মিয়াজিপুর চা, ৬ হাজার ১২০ প্যাকেট সুপার এক্সেল ডিটারজেন্ট, ৪ হাজার পিস চকোচকো চকলেট, ৫ হাজার ৪০০ পিস পালস চকলেট, ৩ হাজার ৭৩৬ প্যাকেট নিউ টাইগার ডিটারজেন্ট পাউডার, ২৪ হাজার প্যাকেট সুপার ড্রাই সিলিকা জেল, ৭৫ টি হাই স্পিড ললিপপ ইত্যাদিসহ বেশ কয়েকটি মেশিন এবং কাঁচামাল তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভোক্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। তারা যেসব কোম্পানির নাম দিয়ে বাজারে এসব পণ্য ছেড়েছে, সেগুলোর বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই। অর্থাৎ তাদের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ অবৈধ। প্রতারণা শুরুর আগে তারা বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করেছিল। সেখানে এসব পণ্য তৈরির প্রক্রিয়া তারা শিখে নেয়। তিনজনের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে সিআইডির তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
এমএসি/আরএইচ