চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফারণের ঘটনায় নিহত ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পর রোববার (৫ মার্চ) তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন, লক্ষ্মীপুর কমলনগর এলাকার মহিজল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (৩৩), নেত্রকোনার কলমাকান্দা এলাকার খিতিশ রংদীর ছেলে রতন নকরেক (৫০), নোয়াখালীর সুধারাম এলাকার মৃত মকবুল আহমদের ছেলে মো. কাদের মিয়া (৫৮), সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার মৃত বিম রুগার ছেলে সেলিম রিছিল (৩৯), একই এলাকার মৃত ইসমাইলের ছেলে শামসুল আলম (৬৫) ও সীতাকুণ্ডের জাফরাবাদ এলাকার মৃত আবুল বশরের ছেলে মো. ফরিদ (৩২)।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফারণের পর হতাহতদের চমেক হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে ছয়জনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এরপর আজ (রোববার) মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ছয়জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধিকে।

এদিকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট কারখানা কর্মকর্তাদের ধারণা অতিরিক্ত চাপের কারণে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যদিও এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারখানাটির কম্প্রেসার অপারেটর মো. ওসমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কারখানাটিতে বাতাস থেকে অক্সিজেন উৎপাদন করা হয়। বিস্ফোরণের সময় আমি ঘটনাস্থলের পাশেই ছিলাম। অক্সিজেনের অতিরিক্ত চাপের কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে।

চট্টগ্রামের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক এস.এম. সাখাওয়াত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। আমরা কাজ শুরু করেছি। তদন্ত শেষে বলা যাবে। 

এমআর/এসকেডি