এবারের একুশে বইমেলায় আসছে সাংবাদিক জামশেদ নাজিমের লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘জোছনার কফিন’। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশ। দুঃখ, হতাশা, দহন, অথবা বিশ্বাসঘাতকতা কিংবা ভালোবাসা থেকে প্রাপ্তি-আঘাতপ্রাপ্তির সামাজিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এ কাব্যগ্রন্থটিতে। বৃহস্পতিবার বইমেলার প্রথম দিন থেকে প্যাভিলিয়ন-৫-এ অনিন্দ্য প্রকাশের স্টলে পাওয়া যাবে বইটি।

কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে জামশেদ নাজিম বলেন, আমার লেখা প্রতিটি বই একটি প্রধান চরিত্রের বিভিন্ন দিকে ছায়া ফেলতে ফেলতে এগিয়ে যায়। ‘জোছনার কফিন’ কাব্যগ্রন্থটিও তাই। বইটি পাঠকের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আমার বিশ্বাস।

জামশেদ নাজিম একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন। চ্যালেঞ্জিং এ পেশার পাশাপাশি লেখালেখিও ধরে রেখেছেন তিনি। তার প্রথম উপন্যাস ‘একটি গল্পের গল্প’ ও দ্বিতীয় উপন্যাস ‘গল্পটির বাকি অংশ’। সাংবাদিক হিসেবে সমাজের বিচিত্র অভিজ্ঞতা তার উপন্যাসগুলোতে স্থান পায়। বিশেষ করে ২০২০ সালে প্রকাশিত রহস্য উপন্যাস ‌‘আবেগের জলডুবি’ বাংলাদেশ ও কলকাতায় পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে বাস্তবতার নিরিখে লেখা উপাদানের জন্য। 

জামশেদ নাজিমের প্রথম কাব্যগ্রন্থটির মুখবন্ধে কলকাতার কবি ও কথা সাহিত্যিক রুদ্র গোস্বামী লিখেছেন, ভালোবাসা থেকে প্রাপ্ত আঘাত, ব্লেডের ধারের মতো মানুষের হৃদয়কে কাটে। ক্ষতবিক্ষত করে। মানুষকে মনখারাপের দ্বীপে টেনে নিয়ে গিয়ে একা করে দেয়। নাজিম জানেন মন খারাপ ওষুধে কমে না, কথা কখনো-কখনো ওষুধের থেকে ভালো কাজ করে। হতাশা কী? আঘাত অথবা বিশ্বাসঘাতকতা থেকে উত্তরণের পথই বা কোথায়? ভালোবাসা অথবা বিষাদ, অথবা আত্মহত্যার মতো মানসিক রোগের সমাধান মানুষের হৃদয় থেকে কতটুকু দূরে? ‘জোছনার কফিন’ কাব্য সংকলনে কবি জামশেদ নাজিম মূলত সেইসব সামাজিক কথাদেরই অনুসন্ধান করতে চেয়েছেন। এই গ্রন্থে কবি মূলত সেইসব কথাদের স্থান দিতে চেয়েছেন যা পাঠককে একটা বোধের ঠিকানায় নিয়ে দাঁড় করিয়ে বলতে পারে, হেরে যাওয়ার থেকে বেশি ভালো ঘুরে দাঁড়ানো। 

এইউএ/এনএফ