ঢামেকে আগুনের কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিসের কমিটি
আগুনে আইসিইউর ভেতরের জিনিসপত্র পুড়ে গেছে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দফতর।
অধিদফতরের উপ-পরিচালক (অ্যাম্বুলেন্স) নূর হাসানকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে রয়েছেন একজন ডিডি, একজন ডিএডি ও দুজন ইন্সপেক্টর।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক (ডিডি) দেবাশিষ বর্ধন।
তিনি বলেন, ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের খবরে মোট পাঁচটি ইউনিট পাঠানো হয়। তবে প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়। ধোঁয়া বের হওয়ার সুযোগও ছিল সীমিত। এজন্য ধোঁয়া বের করে দেওয়ার পর আগুন নির্বাপণ করতে হয়েছে। আগুনের কারণ প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
ডিডি দেবাশিষ বর্ধন বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুনের কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা সকাল ৮টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট কাজ করার পর ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ আইসিইউতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. নাজমুল হক।
তিনি বলেন, এ তিনজনই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আগুন লাগার পর তাদের হাসপাতালের অন্য বিভাগে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া দু'জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (৪৮) ও কাজী গোলাম মোস্তফা (৭৫)। আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ১১ নং বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জেইউ/জেডএস