রাজধানীর গুলিস্তান বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশে একটি ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় বেড়েই চলেছে লাশের সারি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত- ১৫ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসেছে। আর কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে এই হাসপাতালের মর্গের বাতাস। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢামেক মর্গ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্বজন হারানোর শোকে কাঁদছেন অনেকে। তাদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে ঢামেক ও এর আশেপাশের এলাকার বাতাস। প্রিয়জনকে খুঁজতে হাসপাতালে ছুটে আসছেন অনেকে।

সরেজমিনে এসব দৃশ্য দেখতে পায় ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদক। এসময় তার সঙ্গে কথা হয় পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তির।

তিনি জানান, স্বপন, মির্জা ও আশিক নামের তিন ব্যক্তির খোঁজে এখানে এসেছেন। তারা ৩ জনই বিস্ফোরণ হওয়া ভবনের একটি দোকানে কাজ করতেন।

ওই ব্যক্তি বলেন, যে বিল্ডিংয়ে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে একটি স্যানিটারির দোকানে তারা কাজ করতেন। বিস্ফোরণের সময় আমি রামপুরা ছিলাম। খবর পেয়ে এখানে এসেছি। 

তিনি আরও বলেন, দোকানে ঢুকতে চেষ্টা করেছিলাম তবে ঢুকতে দিচ্ছে না, রেড করে রেখেছে।

আল আমিন নামে পাশের মার্কেটের এক কর্মী বলেন, হঠাৎ বিস্ফোরণের পর বের হয়ে দেখি রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন বহু মানুষ। ৮ জনকে আমি নিজে ভ্যানে উঠিয়ে মেডিকেলে পাঠিয়েছি। তারা সবাই মারা গেছেন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।

এছাড়া আরও বহু লোক আহত হয়ে পড়ে ছিলেন। যে যেভাবে পেরেছে তাদের মেডিকেলে পাঠিয়েছে। রাস্তায় থাকা সব গাড়ি, পথচারী, রিকশা, ভ্যান- সবকিছুই বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান আল আমিন।

এসএইচআর/এমএসআই/এমজে