সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও তাদের নেওয়া কর্মসূচির মাধ্যমে কিডনি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ‘বিশ্ব কিডনি দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যখাতে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো- ইনশাআল্লাহ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছি এবং এই নীতি বাস্তবায়ন করছি। আমাদের সরকার নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ও চিকিৎসা সেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা দিতে সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে শিশু ও মাতৃ-মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। পিএসসির মাধ্যমে নতুন কয়েক হাজার চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সরকারের নেওয়া নানামুখী পদক্ষেপের ফলে আমরা স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছি, যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন কারণে বিশ্বজুড়ে কিডনি রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। কোভিড-১৯ মহামারিতেও অনেকে নতুন করে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অথবা আগে থেকেই আক্রান্ত ব্যক্তিদের রোগের অবনতি হয়েছে। তাই এ ধরনের দুর্যোগ পরিস্থিতির জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। 

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার লোক ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে জীবন ধারণ করছেন। জনসচেতনতা বাড়াতে পারলে ও প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করতে পারলে অনেক কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য। আমাদের সরকারের প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগ সনাক্ত করা সম্ভব। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ ও কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকিহ্রাস পাবে। আমরা প্রতিটি বিভাগে এবং জেলা পর্যায়ে কিডনি রোগীদের জন্য হাসপাতাল ও ডায়ালাইসিস সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং তার বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সরকার স্বল্পমূল্যে ডায়ালেসিসের ব্যবস্থা করেছে। 

জেডএস