রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে কোনো মধ্যস্থতা করব না। তবে তারা চাইলে সহযোগিতা করব।

রোববার (১২ মার্চ) নির্বাচন ভবনে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আরো পড়ুন>>নিয়োগ-নির্বাচন এক নয়, আমিও নির্বাচন করতে পারব : সিইসি

সিইসি বলেন, হাইকমিশনার স্পষ্ট করে বলেছেন- উনারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং ফ্রুটফুল হবে। এটা উনাদের প্রত্যাশা। আমরাও আমাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছি। আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরাও চাচ্ছি যে নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হোক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক। আমাদের দায়িত্বের মধ্যে উনারা জানতে চেয়েছেন আমরা কি দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করতে পারি কিনা। আমরা বলেছি সেটা আমাদের দায়িত্বের পরিধিভুক্ত নয়। তবে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে বারবার বলে যাচ্ছি যে নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই এটার গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি হবে। সেই লক্ষ্যে আগেও যেমন দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে গণমাধ্যমের মাধ্যমে, সব সময় আমাদের যে ইচ্ছা সেটা জানাচ্ছি।

আরো পড়ুন>>মোস্তফা ফারুককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো ইসি

তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা কবর। আমরা সবাইকে আবেদন করব যে আপনারা আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। দেখুন নির্বাচনটা কেমন হয়। আর যদি সব দল অংশগ্রহণ করে আমরা নিশ্চিত নির্বাচনের ফলাফলটা অনেক বেশি ভালো, অনেক বেশি ইতিবাচক হবে। জনগণের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য হবে।

আরো পড়ুন>>নতুন দলের নিবন্ধন নিয়ে কঠোর বার্তা ইসির

এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অংশগ্রহণের বিষয়ে আমরা কোনো উদ্যোগ নেবো না। এটা রাজনৈতিক ইস্যু। কোনো সংকট থেকে থাকে তারা আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করবেন। আমরা ব্রোকারেজ করব না, করতে পারব না। কিন্তু আমরা ওপেনলি আহ্বান করে যাব, আমরাদের দরজা খোলা আছে, কোনো পার্টি যদি এসে সহযোগিতা কামনা করতে চান আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি আমাদের পক্ষ থেকে যে সমস্ত সহযোগিতা প্রদান করা দরকার, সেগুলো আমরা করে যেতে পারব।

এসআর/এমএ