সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ ও মারধরের ঘটনায় মর্মাহত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সুপ্রিম কোর্ট পবিত্র জায়গা। এখানে অপ্রীতিকর কিছু ঘটবে তা কেউ আশা করেনি। এরপরও ঘটে গেছে। সেজন্য দুঃখপ্রকাশ করছি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে এ কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বুধবার (১৫ মার্চ) সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় সমালোচনার মুখে বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে আসেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুর অর রশিদ। এসময় হারুন ল’ রিপোটার্স ফোরামের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। 

পরে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে ডিবি প্রধান বলেন, গতকালের ঘটনায় আমরা দুঃখিত। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত। ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়টে সেজন্য পুলিশ সচেষ্ট থাকবে বলে জানান হারুন।

তার বক্তব্যের পর ডিএমপি কমিশনার ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি সভাপতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়টি দেখা হবে বলে জানান।

আলোচনায় সাংবাদিক নেতারা রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশীদকে ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে আরো সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান। 

তারা বলেন, এডিসি হারুনের যেকোনো অপারেশনেই কাজ হচ্ছে সাংবাদিকদের হেনস্তা করা। তারা বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের মারধর, হেনস্তা করার কথা উল্লেখ করে তাকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার অনুরোধ জানান। ডিবি প্রধান এ বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।  

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে গতকাল সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করেছে। সারাদিন পুলিশকে তা হ্যান্ডেল করতে হয়েছে। এতে পুলিশসহ সাংবাদিক ভাইয়েরাও আহত হয়েছেন। ভবিষ্যতে আমরা সাবধান হবো। 

আজ সুন্দর সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে দাবি করে হারুন বলেন, পোশাকে ছাড়াও আমরা এখানে সাদা পোশাকে কাজ করছি। আমি মনে করি শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হবে। সাংবাদিক-পুলিশ একসঙ্গে কাজ করবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার, সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভুঁঞাসহ অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরা।

জেইউ/জেডএস