জামানত ও মর্টগেজ ছাড়া ঋণের সাড়ে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ও ঋণ গ্রহীতাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

সোমবার (২০ মার্চ) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এই ঘটনায় আজকের মামলাসহ মেজর মান্নানের বিরুদ্ধে মোট ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর আট মামলায় আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৬৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মান্নানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আর ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট প্রথম মামলা করে দুদক। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাকি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) এম এ মান্নান, ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক চেয়ারম্যান নাসুম মান্নান, মেট্রোপলিটন সিএনজি লিমিডেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনকর হোসেন, বিআইএফসির পরিচালক আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, এএমএম জাহাঙ্গীর আলম, রইস উদ্দিন আহমেদ, মহিউদ্দিন আহমেদ ও রোকেয়া ফেরদৌস, প্রতিষ্ঠানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহমুদ মালিক, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুর রহমান, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ফকরে ফয়সাল, সাবেক এভিপি আহমেদ করিম চৌধুরী ও সাবেক সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মেট্রোপলিটন সিএনজি লিমিটেডের  অনুকূলে নিরাপত্তা জামানত ও মর্টগেজ ছাড়াই ৬ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৩ টাকা আসলসহ ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৯২ হাজার ৬৮৩ টাকা মন্দ ঋণ হিসাবে আনাদায়ি রয়েছে। আর ওই ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়নি কিংবা জমাও দেওয়া হয়নি। ২০১১ সালের মার্চে নেওয়া ঋণ ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরএম/জেডএস