মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে একজন শেখ মুজিব ও একজন শেখ হাসিনাকে পেয়েছে। শেখ হাসিনা একজন বিশ্বের বিস্ময়কর সৎ, পরিশ্রমী, প্রতিভাবান ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিক। তার সময়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। 

সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) সেমিনার হলে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দানকালে তিনি এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে এর আয়োজন করা হয়।  

শ ম রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। তার হাত দুর্বল করলেই স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। আর তারা প্রতিষ্ঠিত হলে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, যিনি অবিনাশী সত্ত্বা হিসেবে বিশ্বপরিমণ্ডলে স্বীকৃত, সে মানুষটিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবে না- এই ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯ সালে পার্লামেন্টে নিয়ে এসেছে বিএনপি। আর এটিকে পাশ করেছে বিএনপি। পাশ করার পর রাষ্ট্রপতির সইয়ের প্রয়োজন হয়, সেটি দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর খুনের বিচার করা যাবে না এটিকে আইনে পরিণত করেছে বিএনপি ও এতে স্বাক্ষর করেছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। এভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করেছে জিয়াউর রহমান ও তার দল।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মহাকালের আবর্তে অনেক কিছু হারিয়ে যাবে, বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু অবিনাশী সত্ত্বা বঙ্গবন্ধু কখনো হারিয়ে যাবে না। কারণ বঙ্গবন্ধু একজন মানুষের ভেতরে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, একজন রাজনীতিকের ভেতরে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী সত্ত্বা, একটি আদর্শ, একটি দর্শন ও পথ চলার পাথেয়। যখনই কোনো নির্যাতিত, নিষ্পেষিত মানুষ পথ হারাবে, তখন অস্তিত্বের উৎস মূলে ফিরে আসতে হলে খুঁজে নিতে হবে বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য। বঙ্গবন্ধু অনন্তকাল প্রেরণা হয়ে থাকবেন, পথ চলার পাথেয় হয়ে থাকবেন, নির্দেশক হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব পেতাম না।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আইইবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন। সভাপতিত্ব করেন আইইবির প্রেসিডেন্ট মো. নূরুল হুদা। 

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবির সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুস সবুর। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইইবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রনক আহসান, প্রকৌশলী আবুল কালাম হাজারী ও প্রকৌশলী প্রতীক কুমার ঘোষসহ অন্যান্যরা।

আলোচনা সভা শেষে মন্ত্রী দুস্থ ও এতিম মানুষদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

এসএইচআর/কেএ