আশ্রয় প্রকল্প -২ এর ঘর পেয়ে সুবিধাভোগীরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে চিরদিন দরকার বলেও জানান। 

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পক্ষে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উপকারভোগীদের কাছে জমির কবুলিয়াত দলিল, নামজারি খতিয়ান এবং ঘরের সনদ হস্তান্তরের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গাজীপুর নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমি ও ঘর পেয়ে হানিফ নামের এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীকে অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, মা, আপনার দয়ায় ঘর পেয়েছি, স্কুল পেয়েছি, মাদ্রাসা পেয়েছি, রাস্তা পেয়েছি। আমার আর কোনো চিন্তা নাই মা। এখন আমি ভিক্ষাও আর করব না। আমি ছোট একটা দোকান করে আপনার দয়ায় দিন কাটায় দেবো। আপনার জন্য আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করা ছাড়া আমার আর কিছু দেওয়ার নাই। আমি আপনার জন্য চিরকাল দোয়া করি মা। আমি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করি, তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। 

এ সময় তিনি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দেন এবং বলেন, শেখ হাসিনার সরকার, বারবার আমাদের দরকার, চিরদিনই দরকার। 

একই আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী দুপজাহান বেগম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আমি এক বাড়িতে থাকতাম, হঠাৎ করে একদিন রোজার মধ্যে ইফতার করার সময় আমার ঘরে চাবি হারায় যায়। পরে মালিকরে বলায় সে আমার সঙ্গে রাগারাগি করে। পরে আমি আরেক বাড়িতে গিয়ে ইফতার করলাম। হেই বেডি মালিকের কাছে কইল যে এই বেডি ঘরের ভেতর কারেন্টের শক খাইসে। এই কথা মালিককে ফোনে বলসে। আমাকে জিজ্ঞেস করে আপনি কই, আমি বললাম মাত্র ইফতার করলাম। আমাকে জিজ্ঞেস করল আমি নাকি কারেন্টে শক খাইসি! আমি বললাম- আমার কথা শুইনা মনে হয়? আমি তারপর সেখান থেকে বাইর হইয়া গেলাম। আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলাম। আমার তো নামাজ রোজা করতে হয়, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখলাম আমার সন্তানরা খোঁজ নেয় কিনা। রোজা চইলা গেল ভাবলাম ঈদের মধ্যে খোঁজ করবো। ঈদের মধ্যেও খোঁজ করে নাই। এরপর আমি ভাবলাম কোরবানির সময় আমারে খোঁজ করবো। তারপরও আমারে খোঁজ করলো না। আমি বিভিন্ন  জায়গায় ঘুরে, মানুষের সেবা করি, লাশ ধোয়াই সবকিছু করি। পরে শুনলাম আপনি ঘর দ্যান, তারপর আমি ঘর পাইলাম।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘ঘরে ঢুকে আমার এতো আনন্দ লাগছে, ঘরে কারেন্টের লাইন দিছে। আমি পাকা ঘর ও দুই শতক জমি পাইছি। আমি এখন সব কিছু পাইছি।’ 

এই সুবিধাভোগী বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম যে আমি মারা গেলে কোনখানে মাটি দেবে। আমার তো জায়গাবাড়ি নাই। বাপের ঘরে হইছিলাম, ভাইয়েরা পরিচয় দেয় না আমি গরিব বইলা। আল্লাহ আমারে এখন দাঁড়ানোর শক্তি দিছে।’

এমএসআই/এমএ