রাজধানীর বাড্ডায় ইমতিয়াজ আহমেদ আদর (২২) নামে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে বাড্ডার পোস্ট অফিস গলিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক আদরকে মৃত ঘোষণা করেন।

আদর ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আদরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা স্ত্রী নুসরাত সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বাড্ডার পোস্ট অফিস গলিতে ভাড়া থাকি। আদর আইইউবিএটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। আমি শরীয়তপুর নড়িয়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রেম করে বিয়ে করার পর ফ্যামিলি মেনে না নেওয়ায় আমরা দুজনেই মানসিকভাবে চাপে ছিলাম। আজ সকালে আদরের সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়। পরে সে বাথরুমে ঢোকে। বেশ কিছু সময় পেরিয়ে গেলে দরজা না খোলায় আশপাশের লোকজন নিয়ে বাথরুমের দরজা ভাঙা হয়। 0পরে দেখি বাথরুমের গ্রিলের সঙ্গে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে সে ঝুলে আছে। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে একটি টিম পাঠিয়েছি। তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, সে একজন হাঁপানির রোগী ছিল। এর মধ্যে সে সাত মাস হলো প্রেম করে বিয়ে করেছে। কিন্তু তার পরিবার তাকে মেনে না নেওয়ায় সে সবসময় হতাশাগ্রস্ত থাকত। আজ সকালে তার স্ত্রীর সঙ্গে সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। পরে সে বাথরুমে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

এসএএ/কেএ