রোজার প্রথম দিন রাজধানীর অলিগলিতে বসেছে ইফতারের দোকান। সেখানেও প্রায় ১০ ধরনের ইফতারের পদ রয়েছে। সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দামের ইফতার সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে এসব দোকানে। এসব দোকানে ভিড় করছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর রায়ের বাজার এলাকার প্রতিটি অলিগলিতে ইফতারের দোকান বসেছে। পাড়ার ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা সেখানে হরেক রকমের ইফতার সামগ্রী নিয়ে বসেছেন। 

এসব দোকানে বেগুনি প্রতি পিস ৫ টাকা,  পেঁয়াজু ৫ টাকা, আলুর চপ ৫ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, বুন্দিয়া প্রতি কেজি ২৮০ ও  জিলাপি ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। সেখান থেকে ক্রেতা পছন্দ মতো ইফতারের আইটেম ক্রয় করতে পারেন। 

ইফতার বিক্রেতা হোসেন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা দোকানকে টিকিয়ে রাখার জন্য ইফতার বিক্রি করছি। ইফতার সামগ্রী তৈরির সব পণ্যের দাম বেড়েছে, এই দামে বিক্রি করে আমাদের পোষায় না। আবার বেশি দামেও কাস্টমার পাওয়া যায় না।

ক্রেতা রিকশাচালক রফিক মিয়া বলেন, বাসায় আমার স্ত্রী ও তিন মেয়ে আছে। তারাও রোজা রেখেছে। সারাদিন তেমন কামাই হয় না। ২৬০ টাকার মতো কামাই হয়েছে। মুড়ি, বুট (ছোলা) আর একটা আনারস নিয়ে যাব। রাতে কামাই করে চাল কিনব।

মুদি দোকানদার হিরণ মিয়া বলেন, মালের যে দাম বাড়ছে। মানুষ ইফতার পানি দিয়ে করতে হবে। কোন কিছুতেই মানুষ হাত দিতে পারছে না। আমি দোকানদার হয়েও চলতে কষ্ট হচ্ছে। ইফতার শুধু মুড়ি আর ছোলা দিয়ে করব। দোকানে ঠান্ডা পানি আছে, বাসা থেকে আবার কিছু ফল পাঠাচ্ছে।

এমএসআই/এসকেডি