খালের ওপর ভবন নির্মাণের অনুমোদন কীভাবে? প্রশ্ন মেয়রের
উত্তরায় খিদির খালের জায়গার ওপর নির্মাণাধীন ভবনের অনুমোদন প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা এখানে উচ্ছেদ করে খালের পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে কাজ করছি। কিন্তু আমার প্রশ্ন এমন একটি খালের জায়গায় একটি ভবন নির্মাণের অনুমোদন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কীভাবে দিলো?
শুক্রবার (১৯ মার্চ) উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে খিদির খালের (স্লুইচ গেইট) ওপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নতুন খনন কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) যেকোনো অনুমোদন দেয় তাদের অফিসে বসে। তারা কিন্তু সরেজমিনে এসে বিষয়গুলো দেখে এরপর অনুমোদন দেয় না। তারা তাদের অফিসে বসেই এসবের অনুমোদন দেয়। আমার প্রশ্ন রাজউকের চেয়ারম্যানের কাছে, সংশ্লিষ্টদের কাছে, তারা কীভাবে এটি অনুমোদন দিলো।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, রাজউকের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। শুধু প্লট বরাদ্দ দিলে হবে না। তারা খালের ওপরে প্লট বরাদ্দ দিয়ে দিচ্ছে, আমাদের খাল ওপেন থাকতে হবে। সংস্থা যেগুলো আছে তাদের সবার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে- আপনারা কোনো কিছুর অনুমোদন দেওয়ার আগে সিএস, আরএস ম্যাপ দেখুন, মহানগর দেখুন, এরপর আপনারা অনুমোদন দেবেন। আপনারা হুট করে দিয়ে দেবেন আর জনগণের দুর্ভোগ, কষ্ট হবে এটা মেনে নেওয়া হবে না। অনুমোদন দেওয়ার আগে অবশ্যই সরেজমিন পরিদর্শন করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
মেয়র বলেন, আমার কাছে অবাক লাগে কীভাবে তারা এই খালটা বন্ধ করে দিল। আমি খোঁজ নিতে বলেছি কোনো কাউন্সিলর এখানে কোনভাবে জড়িত আছে কি না। যদি থাকে তাহলে তাকে লিখিত জবাবদিহিতার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাকে বলেছি এই খালের সিএস, আরএস জায়গা দেখতে। যদি দরকার হয় তাহলে এখানে একটি হাসপাতালের দেওয়াল আছে, এটিও কিন্তু ভাঙা পড়বে। এছাড়া গোল্ডেন মনির বা যারাই জায়গা দখল করে রাখুক জনগণের সহযোগিতায় আমরা সেসব জায়গা উদ্ধার করবো। আর যদি কাউন্সিলর জড়িত এটা প্রমাণ হয় তাহলে অবশ্যই সেই কাউন্সিলরের পদ বাতিল হয়ে যাবে।
এএসএস/এনএফ