মোদিবিরোধী মিছিল-সমাবেশের শঙ্কায় সতর্ক পুলিশ
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা ঢাকায় আসছেন। আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ইতোমধ্যে মোদির আসার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করে নানা বক্তব্য দিয়েছেন ইসলামিক কিছু দলের নেতারা। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মোদিবিরোধী মিছিল-সমাবেশের শঙ্কায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আশপাশে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
পল্টন মোড় থেকে বায়তুল মোকাররম যাওয়ার পথ কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের এডিসি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, জুমার নামাজের পর মোদিবিরোধী মিছিল ও সমাবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাছাড়া বিশৃঙ্খলা ও জানমালের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে। সেজন্য বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে দেওয়া আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করার জন্য গত ৫ মার্চ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলেন ওলামা মাশায়েখরা। তারা বলেছিলেন, যেকোনো মূল্যে তারা মোদির ঢাকা সফর প্রতিহত করবেন। এ জন্য মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। ৫ মার্চ বিক্ষোভ মিছিলও করেছিলেন তারা।
অন্যদিকে ১৬ মার্চ আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছিলেন, দেশ ও জাতির জন্য এ ধরনের সফর অত্যন্ত সম্মান ও গর্বের। বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভেন্যু নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে। বাংলাদেশের মানুষের অনন্য সাধারণ এ উদযাপনকে ব্যাহত করতে যে কোনো অপচেষ্টাকে কঠোর হাতে দমনের নির্দেশ দেন আইজিপি। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন এবং দেশ ও মানুষের সম্মান ও স্বার্থে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দৃঢ়চিত্তে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
জেইউ/এনএফ