ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মত প্রকাশের অধিকারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

সংগঠনটি বলছে, প্রায়ই মুক্তমনা, প্রগতিশীল ব্যক্তিবর্গ এবং সংবাদকর্মী, মানবাধিকার কর্মীরা এই আইনের অপপ্রয়োগের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

মহিলা পরিষদ মনে করে, এ আইনে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক তুলে নিয়ে যাওয়া এবং দীর্ঘ সময় তাদের কোনো খোঁজ খবর না পাওয়া মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লক্ষ্য করলাম যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দেশে সংবাদ কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং দীর্ঘ সময় পরেও তাদের অবস্থান সম্পর্কে কোনো রকম খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

সাম্প্রতিক সময়ে আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করছি যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মত প্রকাশের অধিকারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। মুক্তমনা, প্রগতিশীল ব্যক্তিবর্গ এবং সংবাদকর্মী, মানবাধিকার কর্মীরা এই আইনের অপপ্রয়োগের শিকার হচ্ছেন।

মহিলা পরিষদ এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সংবিধানের আলোকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছে এবং এই আইনের অপপ্রয়োগের শিকার যেন কেউ না হয় সেদিকে লক্ষ্যে রেখে এই আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং সংবাদকর্মী, মানবাধিকারকর্মীদের সার্বিক নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে মহিলা পরিষদ।

জেইউ/এসকেডি