চলতি বছরের মার্চে ১২৯ জন কন্যাশিশু ও ১২০ জন নারীসহ নির্যাতনের শিকার ২৪৯ জন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৭ কন্যাসহ ৫৪ জন।

এরমধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১০ জন, ৫ কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ৭ জন কন্যাসহ ৯ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ রোববার (২ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বার্তায় জানানো হয়, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৭ কন্যাসহ ১২ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাসহ ৭ জন, এরমধ্যে উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছে দুজন।

নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে তিন কন্যাসহ ৪টি। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে এক কন্যাসহ ৩ জন, এরমধ্যে ১ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যুর হয়েছে।

যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৮ কন্যাসহ ৪৩ জন। এক গৃহকর্মীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন কারণে ৬ কন্যাসহ ৪০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ৬ কন্যাসহ ২২ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৫ কন্যাসহ ১৪ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে এক কন্যাসহ ৪ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। এছাড়াও ২ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

৯ কন্যাসহ ১১ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে এবং এছাড়াও একজনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩ জন। দুজন কন্যাসহ ৪ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে ৬টি। এছাড়া ৯ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

জেইউ/এসএম