বঙ্গবাজার মার্কেটটি ২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেটটি ২০১৯ সালে করপোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সেসময় মার্কেট সমিতি নতুন ভবন নির্মাণ স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্ট রিট করে এবং হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়।

এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে এই দুর্ঘটনা সম্পর্কিত সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে বৈঠক করেন এবং বৈঠক শেষে নগর ভবনে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শন করেন।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মো. কামরুল হাসান, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ।

এদিকে বঙ্গবাজারে লাগা অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ডিএসসিসি। কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামান জানিয়েছেন, ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্য সচিব করা হয়েছে প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তাকে।

কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- ডিএসসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর (১৩, ১৯ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ড), ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, সম্পত্তি কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি এবং পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর)।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। পরে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ আগুনে বঙ্গবাজারসহ আশপাশের ৬টি মার্কেটের ৫ হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবরও পাওয়া যায়নি।

এএসএস/এমজে