অপরিচ্ছন্নতার জন্য প্রথমে চিঠি পরে গণহারে মামলা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব নিতে হবে। সরকারি, বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। যার যার ডোবা তারা নিজেরা পরিষ্কার করবেন, অন্যথায় যেখানেই ময়লা পাওয়া যাবে, সেখানেই মামলা দেওয়া হবে।

শনিবার (২০ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) গুলশানের নগর ভবনে সমন্বিত মশকনিধন কার্যক্রম পরবর্তী মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় ৮ থেকে ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত সমন্বিত মশকনিধন কার্যক্রম সম্পর্কে ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী, মশকনিধন কর্মী, পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টরা মতামত ব্যক্ত করেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যত বেশি আত্ম-সমালোচনা করা যাবে, ততো বেশি ঘাটতি কমানো যাবে। অভিযান চলাকালে আমি ১২০০ মশকনিধন কর্মীর হাজিরা দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা পাইনি। তাই প্রত্যেক মশক সুপারভাইজারকে তার নিজ নিজ ওয়ার্ডের মশকনিধন কর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিশ্চিত করতে হবে।

সভায় আগামী শনিবারের (২৭ মার্চ) মধ্যে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত জমি ইত্যাদির তালিকা প্রণয়ন করে জমা দিতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ৩ এপ্রিলের মধ্যে সব ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত জায়গার মালিকদের নিজ নিজ ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত জমি পরিষ্কারের জন্য চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। যারা এ সময়ের মধ্যে পরিষ্কার করতে ব্যর্থ হবেন তাদের বিরুদ্ধে ১০ এপ্রিলের পর থেকে গণহারে মামলার নির্দেশ দেন মেয়র।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে, যেসব ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি পরিচ্ছন্ন থাকবে এবং কম মশা পাওয়া যাবে সেসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং তার টিমকে আগামী ডিসেম্বরে স্বর্ণপদক দেওয়ার ঘোষণা দেন মেয়র আতিকুল।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর সাইদুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান, আবদুল মতিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এসকেডি