বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দাফন নিয়ে তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে। তার ভাই-বোন এবং স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে সবাই ঢাকায় আছেন। শুধু একজন দেশের বাইরে আছেন। আশা করি, আজ তারা বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

বুধবার (১২ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মৃত্যুর পর তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দান করে গেছেন– এমনটি শোনা যাচ্ছে, এ নিয়ে জানতে চাইলে সাকি বলেন, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়ে থাকলে সেটি কাল (বৃহস্পতিবার) আপনাদের জানিয়ে দিতে পারব।

সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলতাফুন নেছা মায়া বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম জানাজা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। এরপর সেখানে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।

আলতাফুন নেছা মায়া বলেন, শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ১৪ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১০টায় সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ রাখা হবে। জুমার নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা হবে গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

এএইচআর/এসএসএইচ/