বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জাফরুল্লাহ ভাই আমার ছাত্রজীবনের রাজনীতি সহযোদ্ধা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের সহযোদ্ধা পর্যন্ত এই দীর্ঘ পথ... পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষের শোষণ বৈষম্য বঞ্চনার বিরুদ্ধে তিনি আমাদের সাথেই ছিলেন। মানুষ হিসেবে তার গুণাবলি ছিল অনন্য।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রাশেদ খান মেনন বলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধের জনযোদ্ধা ছিলেন। তিনি শুধু মুক্তিযুদ্ধ করেননি, মুক্তিযুদ্ধের পর সেই যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য। শুধু দেশের ভেতরে নয়, দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে তার লড়াই ছিল অবিচল। তিনি ওয়ার্ল্ড পিপলস হেলথ অ্যাসেম্বলি তৈরি করে সারা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য লড়াই করেন। আজ আমরা গর্ব করি, ওষুধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করি। ওষুধনীতি প্রণয়নে তিনি ছিলেন অবিচল এবং তার প্রচেষ্টাতেই এটা সফল হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক দল করেননি, কিন্তু রাজনীতির বিবেকের কণ্ঠস্বর হিসেবে থেকেছেন এবং মানুষকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়।

বারডেম হাসপাতালের হিমাগার থেকে ফ্রিজিং ভ্যানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়ার পর সবার আগে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী। পরে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতারা, রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বহু বছর ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়। এর মধ্যে সোমবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

/এমএইচএন/এসএসএইচ/