মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুদের অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করার পরও অতিরিক্ত অর্থ দিতে হচ্ছে। এ খরচ বাংলাদেশ নয়, মালয়েশিয়া প্রান্তে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমরা শুনি, আড়াই থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে। আমাদের দেশের কারণে এই খরচ হচ্ছে না। আমাদের সঙ্গে করা সমঝোতার শর্তে টিকে থাকলে এত টাকা খরচের প্রশ্ন আসত না। এই খরচ মালয়েশিয়া প্রান্তে হচ্ছে।

মালয়েশিয়া গিয়ে কর্মীরা কাজ না পাওয়া প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশকে দায়ী করেন ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় গিয়ে অভিযোগ করেন চাকরি হয় না। বাস্তবে কিন্তু এই চাকরি নিশ্চিত করার দায়িত্ব মালয়েশিয়ার। আমাদের এখান থেকে সব ঠিক করে আমরা পাঠাই। ওরা যদি গ্রহণ না করে, তাহলে আমাদের কিংবা রিক্রুটিং এজেন্টকে দোষ দেওয়া যায় না।

মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে যে অবস্থা, সে রকম সৌদি আরবে না। আবার কোরিয়ায় জাপানের মতো অবস্থা না। একেক জায়গায় একেক রকম অবস্থা। এটা ঠিক যে আমরা নিয়মকানুন তৈরি করি কিন্তু বাস্তবায়ন শুধু মন্ত্রণালয়ের কাজ না। সেখানে কাজ করবেন অংশীদাররা।

ইমরান আহমদ বলেন, অভিবাসনে রিক্রুটিং এজেন্সির বড় ভূমিকা আছে। ওনারা কীভাবে কাজ করেন, এটা কিন্তু উনারা ভালো বোঝেন।

বিদেশ গমনেচ্ছুদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, মানুষ যখন যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে, তখন যত টাকাই খরচ হয় দিয়ে চলে যেতে চাচ্ছে, এটা সামাল দেবে কে? বেতন যদি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা হয়, তাহলে এত টাকা খরচ করে যাব কেন?

সভায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বিএমইটি মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এনআই/এমজে