রাজধানীর নিউমার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালামাল বের করতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সহযোগিতা করছে বিজিবি, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা নিজেদের ঘাড়ে করে ব্যবসায়ীদের মালামাল বের করছেন।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খ মহিদ উদ্দিন জানান, ঘটনার শুরু থেকেই বাংলাদেশ পুলিশ অগ্নিনির্বাপন কাজে সহায়তা করছে। সেই সাথে উৎসুক জনতার নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়াও যে সম্পদের ক্ষতি হতে থাকে সেই সম্পদগুলো রক্ষার জন্য পুলিশ সহায়তা করে আন্তরিকভাবে।

খ মহিদ উদ্দিন, আপনারা খেয়াল করে দেখবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা নিজেদের ঘাড়ে করে প্রচুর মালামাল বের করছে। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে পুলিশের সদস্যরা মালামাল বের করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি উৎসুক জনতাকে কন্ট্রোল করছে। ফায়ার সার্ভিস বা অন্যান্য সংস্থার লোকেরা যাতে ঠিকভাবে কাজ করতে পরে। 

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে ৮ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও একজন স্বেচ্ছাসেবী। আর ফায়ার সার্ভিসে ৩০টি ইউনিটের সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন আগুন নিয়ন্ত্রণের। এছাড়া যোগ দিয়েছে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা।

শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পাওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

এদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অরক্ষিত বৈদ্যুতিক লাইনের কারণে শর্ট সার্কিট থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এক লাইন থেকে একাধিক সংযোগ দেওয়ার কথা। তবে এ বিষয়ে এখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এমএম/এমজে