রাজধানীসহ সারা দেশে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। এই গরমে এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা হাঁসফাঁস করছেন। উপরে নিচে ফ্যান চললেও গায়ে লাগছে না বাতাস। সঙ্গে অনেককে হাত পাখা দিয়েও বাতাস নিতে দেখা যাচ্ছে।

রোববার (১৬ এপ্রিল) ঢামেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

যশোর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম সরদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি প্রায় এক মাস হলো এখানে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য এসেছি। এখানে মাথার উপরে ফ্যান থাকলেও ফ্যান চলে না। কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরেও তারা এই ফ্যান ঠিক করে না। এই অসহনীয় গরমে কিভাবে ফ্যান ছাড়া থাকা যায়। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা যশোর জেলার শার্শা থানা থেকে এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছি। ফ্যান ঠিক করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আমরা বারবার বলার পরেও সেটি চালু করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।

মাথায় ভেজা গামছা দিয়ে বসে থাকা শরীয়তপুর থেকে আসা আব্দুর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই গরমে আমাদের এখানে চিকিৎসা সেবা নেওয়া খুবই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এত গরম উপরে ফ্যান চলছে নিচে ফ্যান চলছে তবুও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। 

আপনার মাথায় ভেজা গামছা কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে না পেরে ভেজা গামছা মাথায় দিয়ে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর সেটিও গরম হয়ে যায়। কি করব কিছু তো করার নেই। অসুস্থ হয়েছি চিকিৎসা তো নিতেই হবে।

বরিশাল থেকে কোমরে টিউমার নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন মেহেদী হাসান। তিনি হাত পাখা দিয়ে বাতাস করছিলেন। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ঠিক উপরে একটি ফ্যান আছে কিন্তু সেটি চলছে না। আমাদের ফ্যান ছিল সেটিও নষ্ট হয়ে গেছে ঠিক করতে দিয়েছি সেজন্য হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছি। অসহ্য গরমে টিকে থাকাই দায় এখানে।

পায়ের রগের সমস্যা নিয়ে মোহাম্মদ জাহিদ ভর্তি হয়েছেন ঢাকা মেডিকেলে। অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন তিনিও। তীব্র গরমে উপরে ফ্যান চলছে, পায়ের কাছে জালি ফ্যান দেওয়া আছে আর মাথার কাছে তার স্ত্রী বসে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন তবুও যেন গরমের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি।

এসএএ/এমএ