জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি আনোয়ারুল করিম চৌধুরী চাকরি জীবনের অবসরকালীন পেনশনের পুরো অংকের এক তৃতীয়াংশ তথা ১০ লাখ টাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য অনুদান হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমানও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার মাসিক ভাতা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তহবিলে অনুদান হিসেবে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘ফরেন সার্ভিস ডে’র অনুষ্ঠানে এ দুই সাবেক কূটনীতিক পৃথক পৃথক অনুদানের ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক প্রতিনিধি বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি আমার চাকরি জীবনের অবসরকালীন পেনশনের পুরো অংকের এক তৃতীয়াংশ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুদান হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব গৃহীত করছি। যার মূল্য হবে ১০ লাখ টাকা। এ অর্থ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সম্পর্কিত পুস্তুক-পুস্তিকা কেনার জন্য ব্যবহার করা হবে।

অনুদান দেওয়া অর্থে ব্যবহারের রূপরেখা দেন সাবেক কূটনীতিক আনোয়ারুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, এ অনুদান বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উৎসর্গিত তহবিল স্থাপন করা হবে। এর পরিচালনার দায়িত্ব ফরেন অফিসার্স স্পাউস অ্যাসোসিয়েশন (ফোসাকে) দেওয়া হবে। এ তহবিলের নাম হবে প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল করিম চৌধুরী এবং আমার প্রয়াত স্ত্রী মরিয়াম চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ চেতনা স্মৃতি তহবিল।

অন্যদিকে সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি আমার মাসিক ভাতা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তহবিলে অনুদান হিসেবে ঘোষণা করছি। আমি এবং আমার স্ত্রীর পক্ষ থেকে এ অনুদান ঘোষণা করছি।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

এনআই/এফকে