গাবতলী বাস টার্মিনালে নেই যাত্রীর চাপ
# রাজশাহী অঞ্চলের যাত্রী সবচেয়ে বেশি
# বাড়তি টাকায় সহজেই মিলছে টিকিট
পবিত্র ঈদুল ফিতরের উপলক্ষ্যে রাজধানী থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। আগামীকাল (বুধবার) থেকে সরকারি অফিস ছুটি। তাই আজ (মঙ্গলবার) থেকেই নাড়ির টানে ঘরে ফিরছেন অনেকে। তবে আজ সন্ধ্যার পর থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালের যাত্রীর তেমন চাপ দেখা যায়নি। এদিকে আগে বুকিং দিয়ে রাখলেও বাস টার্মিনালে এসে অধিকাংশ বাসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। আগে বুকিং দেওয়া যাত্রীরা সঠিক সময়ে টার্মিনালে পৌঁছেছেন। টার্মিনালে এসেও অনেককে টিকিট কিনতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ১০০ থেকে ১৫০ কিংবা ২০০ টাকা বেশি দিয়ে টিকিট কিনতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের যাত্রী প্রসেনজিৎ চৌধুরী বলেন, আজ যাত্রীর চাপ কমও না আবার বেশিও না, স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে। আমি আজ এখানে এসে টিকিট কেটেছি, আমার গন্তব্যস্থলের টিকিট পেতে কষ্ট করতে হয়নি। চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স বাসের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয় না। তাই এখান থেকে টিকিট কিনতে হচ্ছে। আশা করছি সুন্দর মতো বাড়িতে যেতে পারব।
এদিকে এসডি ট্রাভেলসের টিকিট বিক্রেতা মুরাদ বলেন, কিছু কিছু বাস অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে। আমরা ডেকে ডেকে টিকিট বিক্রি করছি। ঈদের আগেও একটি বাস ভর্তি হতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগত। আজও এমন সময় লাগছে। আমাদের বাসগুলো চুয়াডাঙ্গা, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা যায়। ঈদযাত্রা শুরু হলেও যাত্রীর তেমন চাপ নেই।
দেশ ট্রাভেলসের সেলস এক্সিকিউটিভ মো. রাজীব ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। তবে রাজশাহীর যাত্রী বেশি রয়েছে। যশোর আর বেনাপোলের যাত্রী তুলনামূলক কম।
এদিকে দেশ ট্রাভেলসে নিয়মিত ভাড়া ৬৫০ টাকা। তবে ঈদ উপলক্ষ্যে ৭৫০ টাকার নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। রাফাত নামের এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, দেশ ট্রাভেলসের নিয়মিত ভাড়া ৬৫০ টাকা। আর আজ সেটা ৭৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
বাড়তি ভাড়া নিয়ে আক্ষেপের সুরে বগুড়াগামী যাত্রী জামিল হোসেন বলেন, বাড়ি যাব বলে কাউন্টারে এসেছি। টিকিট পেতে ঝামেলার মুখে না পড়লেও বাড়তি ভাড়া গুণতে হয়েছে। ৭০০ টাকা ভাড়া হলেও গুণতে হয়েছে ৮০০ টাকা। তবুও ঝামেলা ছাড়া টিকিট পাওয়ায় মোটামুটি খুশি বলেই জানিয়েছেন তিনি।
কথা হয় ঝিনাইদহগামী আরেক যাত্রী রফিকের সঙ্গে, একই রকম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তাকেও। বাড়তি টাকা খরচ করে সোনারতরী বাসের টিকিট কিনেছেন তিনি।
এমএসআই/কেএ