চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৭) ট্রেন গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনে দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ট্রেনের ১৪টি কোচের মধ্যে ৭টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ঈদে যাত্রী পরিবহনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমদানি করা নতুন কোরিয়ান কোচ দিয়ে রেক সাজিয়ে ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৭টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নতুন রেকের সোনার বাংলা এক্সপ্রেস যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে নতুন রেকের ট্রেনটি প্রথম ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় ১৭ এপ্রিল রাত ১০টায়। এর মধ্যে ১৮ এপ্রিল ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে চলাচল করে।

জানা গেছে, নতুন রেকের কোচে রয়েছে অটোমেটিক স্লাইডিং ডোর, স্বয়ংক্রিয় এয়ার ব্রেক, আরামদায়ক সিট, বায়ো টয়লেট, টয়লেটের বাইরে আলাদা বেসিন, প্রতিটি সিটের পাশে ইউএসবি পোর্টসহ বৈদ্যুতিক সকেট, জরুরি হ্যামার, আধুনিক শব্দহীন বৈদ্যুতিক ফ্যান, সিসি ক্যামেরাসহ আরও নতুন কিছু প্রযুক্তি।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে বর্তমানে ৪৫০-৫০০টি কোচ রয়েছে। এসব কোচ দিয়ে আন্তঃনগর ট্রেন চালানো হয় ২৫টি। এর মধ্যে মজুদ থাকা কোচগুলো চাহিদা অনুযায়ী ঈদসহ প্রায় সময়ই ট্রেনের সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এজন্য সোনার বাংলা দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার পর কোনো মজুদ থাকা কোচ দিয়ে রেক তৈরি করা সম্ভব হয়নি। পরে কোরিয়া থেকে আমদানি করা মিটারগেজ কোচ দিয়ে সোনার বাংলার রেক সাজানো হয়। এসব কোচের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে এই এপ্রিলের প্রথম দিকে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান বলেন, গত ১৬ তারিখ সন্ধ্যায় সোনার বাংলায় যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি আমাদের বিরাট চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। ওই ঘটনায় ১৪টি কোচের মধ্যে ৭টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো উদ্ধার করে ট্রেন চালানো বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা কোরিয়া থেকে নতুন রেক নিয়ে এসেছিলাম, সেই রেক আমরা খুবই অল্প সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করি। গত ১৭ এপ্রিল বিকেল থেকে আমরা এটা চালু করেছি।

এমএইচএন/ওএফ