চারিদিকে হেলপারপদের হাঁকডাক। সিট ফাঁকা, ভালো সিট, একদাম ৪০০। ডাইরেক্ট, একবারে গেটলক; এমন হাঁকডাকে ঈদের আমেজে মেতেছে পুরো মহাখালী বাসস্ট্যান্ড। তবে অন্যান্যবার এই সময় ঘরে ফেরা মানুষের চাপ থাকলেও রাজধানীর ব্যস্ততম এ বাস টার্মিনালে আজ সেই অর্থে খুব বেশি যাত্রী চাপ নেই। তারপরও যাত্রীদের কাছ থেকে ২০০ টাকার ভাড়া ৪০০ টাকা আদায় করার অভিযোগ করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকালে যাত্রী চাপ না থাকলেও বাস সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বিকেলে বা আগামীকাল থেকে মূল ভিড় হবে মহাখালীতে।

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে মহাখালী বাস টার্মিনালে এসেছেন সাজেদুল ইসলাম। স্ত্রী আর ছোট ভাইকে নিয়ে ময়মনসিংহ যাবেন তিনি। অন্যান্য সময় সৌখিন পরিবহনে ময়মনসিংহ যেতে ২০০ টাকা লাগলেও আজ তার কাছে চাওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে আজ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। বলতে গেলে ডবল বা তারচেয়ে বেশি হয়ে গেছে। অন্যান্য সময়ে এই সৌখিন পরিবহন ১৫০/২০০ টাকা ভাড়া চেয়ে যাত্রী পায় না। 

অন্যদিকে টাঙ্গাইলগামী বিনিময় পরিবহনে অন্য সময় ৩০০ টাকা ভাড়া থাকলেও আজ সেই ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৫০০ টাকা। যাত্রী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঈদের মূল যাত্রা আজও শুরু হয়নি, সে কারণে মহাখালী বাস টার্মিনালে ভিড় নেই। তবুও ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। আগে বিনিময় পরিবহনে ভাড়া ছিল ৩০০ টাকা, কিন্তু আজ ভাড়া হিসেবে ৫০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

সৌখিন পরিবহনের বাসের হেলপার বাশার আহমেদ বলেন, ঈদের সময় কিছুটা ভাড়া বেশি নেওয়া হয়, এর কারণ সড়কে তীব্র যানজট থাকে, আমাদের ট্রিপ কমে যায়। সব মিলিয়ে কিছুটা ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। সবসময় ভাড়া কম থাকে ঈদের সময় কিছুটা বেশি আশা করে সবাই। অন্য সময় ২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে সাধারণ যাত্রীরা যাওয়া আসা করে। আজ ৩০০/৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে যাত্রী চাপ বাড়লে বা আগামীকাল থেকে এই ভাড়া ৫০০ টাকাও হয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

তবে ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেলো মহাখালী বাস টার্মিনালে এনা পরিবহন কাউন্টারে। এই বাসের কাউন্টারের সামনে বড় ব্যানার টানানো হয়েছে। তাতে লেখা আছে, কোনো অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয় না। সেখানে দেখা গেছে যাত্রীরা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটছেন। সিরিয়াল অনুযায়ী বাস এলে যাত্রীরা উঠছেন।

এনা পরিবহনের ময়মনসিংহগামী একটি বাসের হেলপার রশিদ মিয়া বলেন, আমাদের সব টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি হয়। ৩২০ টাকা প্রতি টিকিটের দাম। কোনোভাবেই যেন যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি না নেওয়া হয় এমন নির্দেশনা দেওয়া আছে আমাদের।

এএসএস/জেডএস