চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বলীখেলা লালদীঘি ময়দানে ফেরানোর পাশাপাশি একদিনের জন্য বিশেষ চাঁটগাইয়া উৎসব আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে বলীখেলার মাঠ পরিদর্শন, ট্রফি, জার্সি ও থিম সং উন্মোচন করেন সিটি মেয়র। এবারের ১১৪ তম আসরের তিন দিনব্যাপী মেলা বসবে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।

লালদীঘি এলাকার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পাবলিক লাইব্রেরিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় আমি বদ্ধপরিকর। লালদীঘির সড়কে তিনদিন বৈশাখী মেলা হবে। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের অংশ চট্টলাবাসীর গর্বের জব্বারের বলীখেলার আয়োজনে কোনো কিছুর কমতি থাকবে না।

আব্দুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখি মেলা কমিটি সহ-সভাপতি সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ জানান, ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল বলীখেলার মেলা চলবে। ২৫ এপ্রিল হবে বলীখেলা। তিনদিন ব্যাপী মেলা বসবে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। বলীখেলা লালদীঘির মাঠেই হবে। তবে মাঠের ছয় দফা মঞ্চ উন্মুক্ত থাকবে। বাঁশ ও বালি দিয়ে মাঠে বলীখেলার মঞ্চ (রিং) তৈরি হচ্ছে। ২৬ এপ্রিল হবে চাঁটগাইয়া ঈদ উৎসব। মেলা হবে মাঠের বাইরে।

ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল, ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিল হাসান মুরাদ বিপ্লব এবং সংগীত শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের।

জানা গেছে, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে জব্বারের বলীখেলা ও মেলার আয়োজন হয়নি। সে হিসেবে তিন বছর পর লালদিঘীর মাঠে ফিরছে ঐতিহাসিক জব্বারের বলীখেলা।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে বক্সিরহাট এলাকার স্থানীয় আব্দুল জব্বার সওদাগর নগরীর লালদিঘী মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা। যা সময়ের পরিক্রমায় জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিত। বৈশাখের ১২ তারিখে লালদিঘীর ময়দানে বলীখেলা হয়। এ উপলক্ষ্যে তিনদিন ধরে চলে মেলা।

এমআর/এমজে