আসন্ন ঈদুল ফিতরে যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন এজন্য সর্বাত্মকভাবে সকল স্টেক হোল্ডার, স্থানীয় প্রশাসন, সড়ক জনপদ, সেতু বিভাগ, র‍্যাব, জেলা পুলিশ, মহানগর পুলিশ, নৌ পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, সিআইডি, গোয়েন্দা বিভাগ সবাই মিলে একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

বুধবার দুপুরে তিনি রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আমরা যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি ঈদে যাওয়ার সময় যাত্রীদের যে চাপ তা পুরোমাত্রায় শুরু হয়নি। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে এখানে চাপ কিছুটা কমেছে। আপনারা দেখেছেন এখানে নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া নৌরুটেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ঈদযাত্রায় ১১ দিন বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া তদারকির জন্য ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে। যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রার জন্য নৌপুলিশ সার্বক্ষণিক পাশে রয়েছে। 

আরও পড়ুন : ঢাকার রাস্তায় ঈদের আমেজ

এসময় তিনি আরও বলেন, দেশের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট, সিআইডির ফরেনসিক ইউনিট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ছুটিতে ট্যুরিস্ট স্পটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

এদিকে ঈদ ছুটিতে ঘরমুখো নাগরিকদের মূল্যবান সামগ্রী খালি বাসায় না রেখে তাদের নিকটাত্মীয়ের কাছে রেখে যাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। যাতে করে ফাঁকা শহরে কেউ অবৈধ সুযোগ না নিতে পারে। 

আরও পড়ুন : যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজট নেই সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে

এসময় তিনি টার্মিনালে নোঙর করা বিভিন্ন লঞ্চে ঘুরে ঘুরে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন। নৌবন্দর পরিদর্শনকালে আইজিপির সাথে নৌ-পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। 

এনআর/এনএফ