৮ বার সময় বাড়িয়েও বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৭ হজ কোটা পূরণ হয়নি। এখনও চার হাজারের বেশি হজযাত্রীর কোটা ফাঁকা। এ কোটা পূরণ করতে আগামী ২৫ এপ্রিল ‘একদিন বিশেষ সুযোগ’ দিচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ওই দিন হজের নিবন্ধনে সার্ভার খুলে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হজযাত্রী ও এজেন্সিগুলোর অনুরোধে চলতি বছর হজে যেতে আরও একদিন হজযাত্রী নিবন্ধন চলবে।

বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন সৌদি সরকারকে আগামী ৯ মে মধ্যে জানাতে হবে। এজন্য শেষ নিবন্ধনের শেষ সুযোগটুকু দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, চলতি বছর সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি অনুযায়ী ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার সুযোগ আছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন। অর্থাৎ নিবন্ধনের বাকি আছে ৭ হাজার ৫০৩ জনের। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকের মতো কোটা সরকারি এবং বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনা টিম সদস্যদের দিয়ে পূরণ হবে। সে হিসাবে নিবন্ধনের জন্য প্রকৃত কোটা বাকি আছে ৪ হাজারের কিছু বেশি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হজ নিবন্ধন শুরু হয়। আট দফা সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ না হওয়ায় ১১ এপ্রিল উন্মুক্ত  নিবন্ধন বন্ধ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই চার কোটা পূরণ না হলেও সৌদি সরকারকে ফেরত দিতে হবে। এই ফেরত দেওয়া ঠেকাতে একদিনের সুযোগ দিতে চায় মন্ত্রণালয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর গত ১৬ এপ্রিলের পত্র ও সম্মানিত হজযাত্রীদের বিশেষ অনুরোধে সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধন সার্ভার আগামী ২৫ এপ্রিল একদিনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আরও বলা হয়, নিবন্ধনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক উন্মুক্ত রয়েছে এবং উভয় ব্যবস্থাপনায় নতুন করে প্রাক-নিবন্ধন করে হজে যাওয়ার সুযোগ আছে। কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। কোনোক্রমেই আর সময় বাড়ানো যাবে না।

এদিকে গত ১৬ এপ্রিল থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন এমন হজযাত্রীদের ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক শুরু হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সকল জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, ঢাকায় অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদ কমপ্লেক্স, ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা এবং হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকায় বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা যেখানে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করবেন সেখানে তাদের পাসপোর্ট জমা দেবেন এবং রশিদ গ্রহণ করবেন।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা স্ব স্ব এজেন্সির মাধ্যমে এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদনের পর পাসপোর্ট স্ব স্ব এজেন্সির নিকট জমা প্রদান করে রশিদ গ্রহণ করবেন।

এনএম/এসকেডি