চট্টগ্রামে মা-ছেলে নিহতের ঘটনায় আরো ২ আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় জায়গা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মা-ছেলে নিহতের ঘটনায় মো. মোসলেম (৩৮) এবং মনোয়ারা বেগমকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ। তিনি বলেন, এর আগে একই মামলায় আরো চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শুক্রবার দিবাগত রাতে মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় জায়গা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হোসনে আরা বেগম (৪৫) ও তার ছেলে পারভেজ (২৩) নিহত হয়। একই ঘটনায় হোসনে আরার দুই ছেলে মো. আরজ (২২) ও মো. সিফাত (১৫) গুরুতর আহত হয়। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় পরদিন ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে নিহত হোসনে আরা বেগমের ছেলে জাফর আহমদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগীদের বাড়ির পাশে আসামিপক্ষের একটি ঘর রয়েছে। এটি তারা সুপারি রাখার জন্য লোকমান হোসেন নামে একজনকে ভাড়া দেয়। ওই বাড়িতে বিভিন্ন সময় সুপারির গাড়ি আসার কারণে ভুক্তভোগীদের বাড়ির দেয়াল বিভিন্ন সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিপক্ষকে কয়েকবার বারণ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গত ৫ এপ্রিল ভুক্তভোগীরা বাড়ির দেওয়াল সংলগ্ন রাস্তায় একটি পিলার দেওয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ভুক্তভোগীদের কয়েকজন আহত হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা আদালতে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করে। আদালত অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজুর জন্য কর্ণফুলী থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে মামলা রুজু হলে মঙ্গলবার বিকেলে আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার না করে পুলিশ ফিরে গেলে সন্ধ্যার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে ভুক্তভোগীদের ওপর হামলা করে।
হামলায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে হোসনে আরা ও তার তিন ছেলে গুরুতর আহত হয়। তাদের চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে হোসনে আরা এবং তার এক ছেলে পারভেজকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এমআর/এমএ