সিট্যুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উদযাপিত হয়েছে। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিট্যুয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এসএস ফুড সেন্টারে এক জাঁকজমকপূর্ণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ ও অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যেও আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রাখাইনের মুখ্যমন্ত্রীসহ রাখাইন রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ভারতীয় কনস্যুলেটের কূটনীতিক, রাখাইন স্টেটের সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের সদস্য, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাখাইন স্টুডেন্ট ইউনিয়নের নেতা, ব্যবসায়ীরাসহ রাখাইনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
 
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মিশন প্রধান জাকির আহমেদ ও রাখাইনের মুখ্যমন্ত্রী উ থেন লিন অনুষ্ঠানস্থলে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন এবং বাংলাদেশ কর্নারে প্রদর্শিত দেশীয় বিভিন্ন হস্তশিল্প পরিদর্শন করেন। এরপর উভয় দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট, সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রর্দশন করে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মিশনপ্রধান বক্তব্য রাখেন। এরপর কেক কেটে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়।

মিশন প্রধান তার বক্তব্যে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের সফলতা ও উন্নয়নচিত্র তুলে ধরেন। এছাড়া রাখাইনে কনস্যুলেটের কর্তৃক বিভিন্ন সময় আয়োজিত সামাজিক, জনকল্যাণ ও গঠনমূলক কর্মকাণ্ড বিষয়ে অবহিত করেন। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাখাইন শিল্পী, রাখাইন, বার্মিজ ও বাংলাদেশি নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া কনস্যুলেটের সদস্য, স্থানীয় শিল্পী ও মডেলদের নিয়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও জামদানি শাড়ির ফ্যাশন শো-এর আয়োজন করা হয়। সবশেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের নৈশভোজের মাধ্যমে আপ্যায়িত করা হয়। 

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি রমজানের পর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে রাখাইনে অবস্থানরত রাজ্য সরকারের সব মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।  

জেডএস