ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র উপকূলে আঘাত হানার সময় এক দিন এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র নাম দিয়েছে ইয়েমেন। মোখা ইয়েমেনের লোহিত সাগর তীরের একটি বন্দরের নাম। এর ইংরেজি বানান Mocha, কিন্তু উচ্চারণ হবে Mokha (মোখা)।

বুধবার বিকেলে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ লেখেন, আবহাওয়ার ইউরোপিয়ান মডেল অনুসারে ১২ মে দুপুর ১২টার পর কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে আবহাওয়ার আমেরিকা মডেল বলছে, ১৩ মে দুপুর ১২টার পর উত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলের পূর্বাভাসের মধ্যে পার্থক্য কমে এসেছে। এই সময়ে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র স্থলভাগে আঘাতের সময় প্রায় ১ দিন এগিয়েছে। তবে দুটি মডেলের মধ্যে স্থলভাগে আঘাতের সময়ের পার্থক্য ১৮ ঘণ্টা রয়েছে, এখন যা প্রতিদিন কমতে থাকবে।

এদিকে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়, আগামী ৭ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যা পরবর্তীতে ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়মিত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে সে বিষয়ে আমরা সতর্কবার্তা জারি করেছি। লঘুচাপটি আগামী ৭ মে তৈরি হতে পারে। সেটি পরে নিম্নচাপ এবং তারপর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে মোখা। 

আরও পড়ুন : ‘মোখা’র সরাসরি আঘাত উপকূলে, করণীয় যা

বাংলাদেশ উপকূলে সমুদ্রে তাপমাত্রার বিচ্যুতি বেশি

মোস্তফা কামাল পলাশ তার পোস্টে লেখেন, ২ মে বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৩০ বছরের গড় তাপমাত্রা অপেক্ষা স্থান ভেদে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। সবচেয়ে দুঃসংবাদ হলো পুরো বঙ্গোপসাগরের মধ্যে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রার বিচ্যুতি সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলে। প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যে স্থানের সমুদ্রের পানির তাপমাত্রার বিচ্যুতি যত বেশি সেই স্থানে ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

আরও পড়ুন : ঘূর্ণিঝড় মোখা : এখন থেকেই লোক সরানোর নির্দেশ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি আরও লেখেন, ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত সকল তথ্য বিশ্লেষণ করে আমি প্রমাণ পেয়েছি, ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ফণি সৃষ্টির সময় বঙ্গোপসাগরে আবহাওয়া সম্পর্কিত সূচকগুলো যে অবস্থায় ছিল, ঠিক একই অবস্থায় রয়েছে এ সপ্তাহেও।

এসকেডি