যশোরের বিখ্যাত ‘জামতলার সাদেক গোল্লা’ এখন ঢাকার বনানী মাঠের মুজিব’স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল টেস্ট অব বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে। তিন দিনব্যাপী শুরু হওয়া ফুড ফেস্টিভ্যালে গরুর দুধের ছানার সাদা ও লাল দুই ধরনের রসগোল্লা বিক্রিও হচ্ছে সেখানে। প্রতি পিস রসগোল্লার মূল্য ২০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা।

আরও পড়ুন : বিদেশেও সমাদৃত যশোরের জামতলা মিষ্টি

মেলার পশ্চিম পাশের স্টলটিতে রসগোল্লার পাশাপাশি খেজুরের গুড়ের সন্দেশ,প্যাড়া সন্দেশ, লেয়ার স্পেশাল সন্দেশ, ওভালটিন কেক সন্দেশ, স্পেশাল সন্দেশ, স্পেশাল ক্রিম চমচম এবং স্পেশাল চকলেটও বিক্রি হচ্ছে। রসগোল্লার স্বাদ ভালো ও খেয়ে মজা পাওয়ার দর্শনার্থীরা ছুটছেন স্টলটিতে।

মেলায় আসা দেশ গ্রুপের কর্মকর্তা আশরাফুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০০৬ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে যশোরের এ রসগোল্লা খেয়েছিলাম। আজও খেলাম, স্বাদ আগের মতোই আছে, কোনো পরিবর্তন নেই।

আরও পড়ুন : ‘আগুন পানে’র ক্রেতা বেশি, ফেস্টিভ্যালে আছে ‘সোনার পান’ও

সাদেক মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক শেখ সাদেক আলীর ছেলে শাহজান কবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের বড় প্রোগ্রামে অংশ নিতে পেরে ভালো লাগছে। ১৯৫৫ সাল থেকে আমাদের এ ব্যবসা চলছে। রসগোল্লা তৈরিতে আমরা খাঁটি দুধ ব্যবহার করি, তাই স্বাদে কোনো পরিবর্তন হয় না। রসগোল্লায় কোনো ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করি না আমরা। প্রতি কেজি রসগোল্লা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।

তিনি বলেন, রসগোল্লা ছাড়াও খেজুর গুড়ের সন্দেশ, খিরের সন্দেশ বিক্রি করি আমরা। দেশে এখন আমাদের ছয়টি শাখা রয়েছে। ব্যবসাও ভালো হচ্ছে।

স্টলটিতে খেজুর গুড়ের সন্দেশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজিতে। প্যাড়া সন্দেশ ৭০০ টাকা কেজি। খেজুরের গুড় আর গরুর দুধ দিয়ে তৈরি হয় স্পেশাল চকলেট। বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা প্যাকেট। লেয়ার স্পেশাল সন্দেশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা প্যাকেট। এটি তৈরি হয় খেজুরের গুড় আর গরুর দুধের ক্ষীর দিয়ে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ছাদের নিচে দেশের সব ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত খাবারের মেলা বসেছে বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্কজুড়ে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে মুজিব’স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল ‘টেস্ট অব বাংলাদেশ’।

এমআই/এসকেডি